এক ডাঁশ আর এক সিংহ এর গল্প

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই মশা জাতীয় পতঙ্গ ডাঁশকে দেখেছো কিংবা নাম শুনেছো। ডাঁশ মানুষকে হুল ফুটিয়ে অবস্থা কাহিল করে ফেলে। ঈশপ এই ক্ষুদ্র পতঙ্গ ডাঁশ ও পশুরাজ সিংহকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছেন। 

একবার এক ডাঁশ এক সিংহের কাছে এসে খুব তাচ্ছ্বিল্যের সঙ্গে বলল: “শোন রে সিংহ, আমি তোকে একটুও ভয় পাই না, আর তুই আমার থেকে কিছুই শক্তিশালী নোস। তোর জোরটাই বা কিসে?আঁচড়াতে পারিস নোখ দিয়ে, কামড়াতে পারিস দাঁত দিয়ে – এতে কি এল গেল? আবারও বলছি,শুনে রাখ, সব দিক ভেবে দেখলে আমার জোর তোর থেকে অনেক বেশী। কোনো সন্দেহ থাকলেআয় লড়াই করি, দেখি কে জেতে।”

এসব কথা বলে ডাঁশটি ভোঁ ভোঁ আওয়াজ করে ঝাঁপিয়ে পড়ল সিংহের উপরে। মুহূর্তেই সিংহের নাকের ডগায় ফুটিয়ে দিল হুল। সিংহ ডাঁশটাকে থাবার থাবায় মেরে ফেলতে গিয়ে নিজের নখে নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করে একসময় কাহিল হয়ে পড়ল। ডাঁশ এইভাবে সিংহের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে গোঁ গোঁ করে বিজয়-সঙ্গীত গাইতে গাইতে উড়ে চলে গেল। কিন্তু বেশীদূর যাওয়া হল না তার, সোজা গিয়ে জড়িয়ে গেল কাছাকাছি এক মাকড়সার জালে।

এর কিছুক্ষণ পরেই চলে গেল মাকড়সার পেটে। মরার আগে ডাঁশটা আফসোসের সঙ্গে বলল: “কী দুঃখের কথা, আমি সিংহের মত একটা মহা শক্তিশালী জন্তুকে অনায়াসে হারিয়ে দিয়ে এলাম, অথচএকটা তুচ্ছ মাকড়সাটার কাছে শেষ হয়ে গেলাম!” 

এ গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে, কারও সামনে অহেতুক আস্ফালন করা ঠিক নয়। কিংবা কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাও উচিত নয়।

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান; জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে। চলে যেতে হবে আমাদের। চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি— নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *