নেকড়ে আর ভেড়ার গল্প

একদিন এক নেকড়ের শরীর খুব খারাপ হয়ে গেল, কিছুতেই নড়তে পারছিল না। চলাফেরা করতে না পারার কারণে শিকারও সংগ্রহ করতে পারছিল না তাই পশু শিকারের জন্য একটি ফন্দি আঁটল।

নেকড়ের পাশ দিয়েই যাচ্ছিল একটি ভেড়া। নেকড়ে তাকে ডেকে কাছের ঝর্ণা থেকে পানি এনে দেয়ার অনুরোধ জানাল। কাকুতি-মিনতি করে নেকড়ে বলল: “আমার শরীরটা ভীষণ খারাপ। এক আঁজলা পানি এনে দিলেই চলবে। গোশতের ব্যবস্থা আমি নিজেই করে নিতে পারব।”

নেকড়ের কখা শুনে ভেড়া বলল: “হ্যাঁ, তাতে আর সন্দেহ কি। আমি তোমায় এক আঁজলা পানি এনে দিই আর তুমি আমাকে দিয়েই গোশত জোগাড় করার কাজটাও করে ফেলতে পারবে!”

ভেড়ার জবাব শুনে হা করে তাকিয়ে রইল। ফন্দি ব্যর্থ হওয়ায় তার কষ্টের সীমা রইল না। 

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান; জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে। চলে যেতে হবে আমাদের। চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি— নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *